দুজনেই ডানহাতি পেসার, প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছেন। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে দুজনকেই। তবে সৌজন্য দেখিয়ে তাসকিন আহমেদের হাতে সিরিজসেরার ট্রফি তুলে দিলেন ক্যারিবিয়ান পেসার জেইডেন সিলস। সেই ট্রফি হাতে নিয়ে তাসকিনের আনন্দ আর দেখে কে! নিজে তো বারবার দেখছিলেনই, পাশাপাশি সবাইকে দেখাচ্ছিলেনও।
এই বছরের শুরুতে টেস্ট থেকে সাময়িক বিদায় নেওয়া তাসকিন পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে ফিরেন। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে দুই টেস্টে মোট ১১ উইকেট নিয়ে প্রথমবার লাল বলে সিরিজসেরা হলেন। প্রথম টেস্টে বিধ্বংসী বোলিংয়ে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন, সেটাই ছিল টেস্টে তার প্রথম পাঁচ উইকেট শিকার। তাসকিনের সঙ্গে যৌথভাবে সিরিজসেরা হয়েছেন এক উইকেট কম নেওয়া জেইডেন সিলস।
ম্যাচ শেষে তাসকিন বলেন, ‘এটা অনেক বড় অর্জন। আমরা টেস্ট সিরিজ ড্র করলাম। ওদের কন্ডিশনে অনেক বড় বড় দল ভোগান্তিতে পড়ে। আমরা একটু কঠিন সময় পার করছিলাম। পাকিস্তানে সিরিজ জয়ের পর কয়েকটি সিরিজ হেরে যাওয়াতে আমরা মানসিকভাবে দমে গিয়েছিলাম। তবে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি। দুটি ম্যাচেই আমি আমার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি এবং আল্লাহতায়ালা আমাকে পুরস্কার দিয়েছেন ম্যান অব দ্য সিরিজ হিসেবে।’
কাঁধের চোট কাটিয়ে মাঠে স্বরূপে ফেরার লড়াইটা খুব কঠিন ছিল তাসকিনের জন্য। সেই স্মৃতিচারণ করে এই পেসার বলেন, ‘আশা করি, মেনি মোর টু কাম। কাঁধের সমস্যা কাটিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার অনেক চেষ্টা করছিলাম। এখন আগের চেয়ে ভালো আছে। আশা করছি এমন আরও অর্জন হবে সামনে। আমি খুবই খুশি। যদিও কাজটা সহজ ছিল না। কাঁধের অবস্থা বাজে ছিল। স্রষ্টার কৃপায় এখন টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে আসছি। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। সেটি এখন ফলপ্রসূ হতে শুরু করেছে। আশা করি, মেনি মোর টু কাম।’
Leave a Reply