1. news@impactnewsbd.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০০ অপরাহ্ন

জাবিতে অটোরিকশার ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সন্দেহভাজন চালক আটক

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৯২ বার
সংগৃহীত

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালযয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাচির নিহতের ঘটনায় সন্দেহভাজন চালক মো. আরজুকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন৷

রবিবার জিজ্ঞাসাবাদের পর দিবাগত রাত ২ টার দিকে তাকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এর আগে রবিবার দুপুরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী গেরুয়া এলাকা থেকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা৷

প্রক্টর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দূর্ঘটনার সময় পথচারী মো. নাঈম এবং ঘাতক রিকশায় যাত্রী হিসেবে থাকা আবু হায়াত ও নাহিদ সন্দেহভাজন চালক আরজুকে শনাক্ত করেন। এদের মধ্যে নাঈম বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মানাধীন লাইব্রেরী ভবনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনিক এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী। অপর দুইজন আবু হায়াত ও নাহিদ নির্মাণাধীন সমাজবিজ্ঞান এক্সটেনশন ভবনের নির্মাণ শ্রমিক।

গত মঙ্গলবার দুর্ঘটনার পর রিকশা বিক্রির চেষ্টা করে রিকশাচালক আরজু। ক্ষতিগ্রস্ত সে রিকশার সামনের দিকে গ্লাস ছিল না, হেডলাইট ভেঙে গিয়েছিল। সেগুলো নতুন করে মেরামত করা হয়। লাল রঙের বসার সিট বদলে নীল রঙের সিট লাগানো হয়। এছাড়া রিকশায় নতুন রঙের গন্ধ ও নতুন হুড লাগানোর আলামত পাওয়া যায়৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর অফিসে রিকশাটি নিয়ে আসা হলে সেটি পরীক্ষা করে দেখেন পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীরা৷

অনিক এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী নাঈম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তখন শহীদ মিনারের পাশ দিয়ে লাইব্রেরির দিকে যাচ্ছিলাম। দুর্ঘটনার সাথে সাথে চিৎকার শুনে আমি ছুটে আসি। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে ৭ টা ৫২ মিনিটে মেডিকেলে নিয়ে আসি। আমি রিকশাওয়ালাকে অনেকটা শনাক্ত করতে পেরেছি।’

মল্লিক ব্রাদার্সের নির্মাণ শ্রমিক মো. নাহিদ ও মো. হায়াত বলেন, আমরা ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের টারজান এলাকা থেকে আটককৃত ওই রিকশায় উঠি। আমরা নিশ্চিত রিকশা এটাই। সে রিকশায় সিট চেঞ্জ করেছে। এটার সামনের দিকে লাইট ভেঙে গিয়েছিল; সেগুলো এখনো আছে। গাড়ির নিচের দিকে নতুন রঙ করা হয়েছে। হাত দিয়ে দেখলাম, রিকশায় নতুন রঙ করেছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, ‘আমরা যখন বিভিন্ন সূত্র ধরে তাকে খুঁজে পাই, তখন তার বাম হাতে খুব ব্যাথা ছিল। তার গলার পাশেও আঘাতের চিহ্ন৷ সে বলেছে, এটা ১৫ দিন আগের ব্যাথা। আমরা জিজ্ঞেস করলাম কোন ডাক্তার দেখিয়েছেন। পরে মেডিকেলের ডাক্তারকে দেখানোর পর নিশ্চিত হয়েছি, সে খুব সম্প্রতি কোথাও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। সেদিনের দুর্ঘটনা থেকেই সে আঘাত পেয়েছ বলে আমাদের ধারণা। ’

এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই অলক কুমার বলেন, ‘তাকে সন্দেহের মূল কারণ, তার মোবাইল ট্র‍্যাক করে দেখা গেছে, সে ১৯ তারিখ সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগরে ছিল৷ বাকি আগে পরের সময় সে ক্যাম্পাসের বাইরে ছিল। আবার ঘটনার পর সে রিকশা বিক্রির চেষ্টা করেছে। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছি।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© 2024, All rights reserved.
Design By Raytahost